Logo

রাজনীতি    >>   বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত বৈঠক: হত্যা বন্ধসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর আলোচনা আসন্ন

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত বৈঠক: হত্যা বন্ধসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর আলোচনা আসন্ন

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত বৈঠক: হত্যা বন্ধসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর আলোচনা আসন্ন

বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত সম্পর্ক নিয়ে আসন্ন বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকে সীমান্ত হত্যা বন্ধসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে এক বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

আগামী ১৭ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি ভারতের নয়াদিল্লিতে বিজিবি (বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড) ও বিএসএফ (বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স) মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এ সম্মেলনে দুই দেশের সীমান্ত নিরাপত্তা ও বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, "এই বৈঠকে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের আস্থা পুনরুদ্ধারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে। বিশেষ করে সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধের বিষয়টি অগ্রাধিকার পাবে।"

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার ঘটনা দীর্ঘদিন ধরেই উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০২৩ সালেও সীমান্তে একাধিক বাংলাদেশি নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। বাংলাদেশ সরকারের দীর্ঘদিনের দাবি, সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে ভারতকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। এবারের বৈঠকে বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে উপস্থাপন করা হবে বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ৪ হাজার ১৫৬ কিলোমিটার জায়গার মধ্যে ভারত ইতোমধ্যে ৩ হাজার ২৭১ কিলোমিটার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করেছে। তবে, সীমান্ত আইন অনুসারে সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না।

কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের কিছু এলাকায় বেড়া নির্মাণকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় জনগণও এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। আসন্ন বৈঠকে এ বিষয়টি আলোচনায় আসবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

বৈঠকে ভারতের গণমাধ্যমে বাংলাদেশ সম্পর্কে ভুল ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশের বিষয়টিও আলোচনায় থাকবে। বাংলাদেশ সরকার চায়, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক যাতে আরও সুদৃঢ় হয় এবং ভুল তথ্য প্রচারের মাধ্যমে যাতে কোনো অপপ্রচার না ঘটে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আগে করা কিছু অসম চুক্তি পর্যালোচনা করা হবে। বিশেষ করে যেসব চুক্তি বাংলাদেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে গেছে, সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে।

এ ছাড়া, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন সংক্রান্ত বিষয়েও আলোচনা হবে। বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা চেয়ে আসছে। বিশেষ করে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি এখনো স্বাক্ষরিত হয়নি, যা বাংলাদেশের কৃষকদের জন্য একটি বড় সমস্যা সৃষ্টি করছে।

ফেনী অঞ্চলে ভারত থেকে আসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হবে। বাংলাদেশের পরিবেশ ও কৃষির ওপর ভারতীয় শিল্পবর্জ্যের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে বাংলাদেশ সরকার চাইছে, ভারত যেন তার বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে এবং সীমান্ত এলাকায় দূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সীমান্ত সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য আসন্ন বিজিবি-বিএসএফ বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। সীমান্ত হত্যা বন্ধ, বেড়া নির্মাণের বিধিনিষেধ, ভুয়া সংবাদ প্রচার রোধ, অসম চুক্তি পর্যালোচনা, পানির হিস্যা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা—এসব বিষয় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে।





P.S 220 Winter concert

P.S 220 Winter concert